parbattanews

অবশেষে নাইক্ষ্যংছড়ির চাকঢালায় হচ্ছে স্থল বন্দর

 

 

নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি:

অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত নাইক্ষ্যংছড়ির চাকঢালায় স্থল বন্দর হচ্ছে। যা চালু হলে চট্টগ্রাম থেকে সবচাইতে কাছের সীমান্ত বানিজ্য হাট হবে প্রতিবেশী রাষ্ট্র মিয়ানমারের সাথে এ দেশের। আর এই বিষয়টি বিবেচনায় এনেই সরকার ইতিমধ্যে এটির বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুরু করেছে। নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান ও পার্বত্য মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এ জন্যে এ পয়েন্টটি পরিদর্শন করবেন শুক্রবার বেলা ১১টায়।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া আফরিন কচি জানান, নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান এমপি ও পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি শুক্রবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় বান্দরবান সার্কিট হাউজ থেকে নাইক্ষ্যংছড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন। তিনি সড়ক পথে সকাল ১১টায় নাইক্ষ্যংছড়ি আসবেন। বেলা ১২টায় সীমান্ত পয়েন্ট চাকঢালার স্থল বন্দরের এলাকা পরিদর্শন করে তিনি তুমরু সীমান্ত এলাকায় যাবেন। বিকেল ৪টায় তুমরু থেকে টেকনাফ সড়ক হয়ে কক্সবাজার সার্কিট হাউজের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন।

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরী জানান, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের স্থল বন্দরের জন্যে সবচাইতে উপযোগী এবং চট্টগ্রাম শহর থেকে কাছের সীমান্ত পয়েন্ট হলো চাকঢালা। যার কারণে এ পয়েন্টে সব চাইতে বেশি চোরাচালান হয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। আর চোরাকারবারীদের অত্যচারে অতিষ্ট হয়ে মিয়ানমার বাহিনী এ কারণে এ পয়েন্টে নানাভাবে সমস্যা করে আসছে বারবার। তারা কাঠুরিয়াকে হত্যা, ব্যবসায়ী হত্যা, নিরীহ কৃষক হত্যা ও নানা ধরণের প্রাণী হত্যাসহ যতসব মানবতা বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে সীমান্তে লোকজনকে জ্বালাতন করে তাদের ইচ্ছামাফিক।

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বিজিবির আহ্বানে কদাচিৎ দু’দেশের পতাকা বৈঠক হলেও তারা ( মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনী) অভিযোগ করে থাকেন-সীমান্তের এ পয়েন্টে বাংলাদেশী চোরাকারবারীরা তাদেরকে অতিষ্ঠ করে বার বার। এ জন্যে তারা নানা পন্থায় প্রতিবাদ করেন। কেননা চোরাকারবারীরা সে দেশের আইন অমান্য করে মিয়ানমারের গরু,ছাগল, ধান, কাঠ, হাসও অন্যান্য পণ্য নিয়ে আনে বাংলাদেশে।

তিনি আরও জানান, সে সব বিষয় আমলে নিয়ে যদি এ পয়েন্টে স্থল বন্দর হলে এ দু’দেশের ভুল বোঝাবুঝি নিরসন হবে চিরদিনের জন্যে।  এছাড়া এ দু’দেশের মধ্যে সু সর্ম্পকও আরও সুদৃঢ় হবে।

এভাবে নাইক্ষ্যংছড়ি ও রামু উপজেলার ১৬জন ইউপি চেয়ারম্যান যথাক্রমে পার্বত্য নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউপি চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল সোনাইছড়ির ইউপি চেয়ারম্যান বাহাইন মার্মা, বাইশারীর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলম, কক্সবাজারের রামু সদর ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদুল আলম, কচ্ছপিয়া ইউপি য়োরম্যান আবু মো. ইসমাঈল নোমান ও গর্জনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রমুখ চেয়ারম্যান মনে করেন, চাকঢালা পয়েন্টে স্থল বন্দর হলে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের বানিজ্য বাড়বে হাজার গুণ। আর এ দু ‘দেশের মধ্যে বার-বার হওয়া জটিল সমস্যা সমূহ বন্ধ হবে এ কারণেই। আর এ কারণে সুবিধা পাবে দু দেশের কোটি মানুষও।

Exit mobile version